শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

করোনা মোকাবিলায় ডিজিটাল ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ চালু হচ্ছে

আমেরিকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুলে দেওয়ার আগে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শক্তিশালী ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ পদ্ধতি চালুর চিন্তা করছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, আগামী ১ মের মধ্যেই এই ব্যাপক ও ব্যায়বহুল পদ্ধতি শুরু করা সম্ভব।

১৬ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের রোগ নিয়ন্ত্রন সংস্থা সিডিসি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করে ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ শুরু করতে সক্ষম হবে। অঙ্গরাজ্যগুলোর বর্ধিত এ সংক্রান্ত নিজস্ব উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায়ও সহায়তা করবে ফেডারেল সরকার।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার অর্থনীতি ধাপে ধাপে এবং সতর্কতার সঙ্গে খুলে দেওয়া হবে। অঙ্গরাজ্য গভর্নদের প্রতি ট্রাম্প বলেন, তাঁরা নিজেদের অঙ্গরাজ্য কখন খুলে দেবেন, তা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত একমাস আগে পর্যায়ক্রমে লকডাউন হয়েছে আমরিকা। দেশটির ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ বেকারত্ব বিমার জন্য আবদন করছেন গত এক মাসে। দেশটির ক্ষুদ্র-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকলে দেশের অর্থনীতিতে গতি থাকবে। সে উদ্দেশ্যে সৃষ্ট ফেডারেল ঋণের যে তহবিল বরাদ্ধ করা হয়, তা ইতিমধ্যেই অর্থ শূন্য হয়ে পড়েছে। এখন এটা স্পষ্ট যে, করোনাভাইরাস সহসাই নির্মূল হবে না। তা যত সামাজিক দূরত্বের রীতি মেনেই চলা হোক না কেন। কোনো রকমে একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিরাপদে আপাতত চলাফেরা করা যাবে। এমন নতুন এক পরিস্থিতি এখন সৃষ্টি করতে হবে এ সমাজে। আর এটা সম্ভব হবে যদি প্রতিটি করোনাভাইরাস কেসকে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। তাহলে দ্রুত তার ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যাবে।

দ্রুততার সঙ্গে ব্যাপক আকারে করোনা পরীক্ষা সহজলভ্য করতে হবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে তখনই, যখন আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেটেড রাখা যায় এবং তাদের সংস্পর্শে যারাই সম্প্রতি এসেছিল সবাইকে পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা যায়। মার্কিন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাই মনে করেন। এ কারণেই শক্তিশালী ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ চালু করার কথা বলা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোতে এ ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ ভালো কাজ করেছে। ওই সব দেশে তা মূলত ডিজিটাল নজরদারি, স্মার্টফোনের সাহায্যে ব্যক্তির অবস্থান নির্ণয় এবং অন্যান্য ভাবে ব্যক্তির পদাঙ্ক অনুসরণ করে কন্টাক্ট অ্যালার্টের মাধ্যমে করা হয়। যা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে হয়তো অনেক আমেরিকান এর প্রয়োগ মেনে নেবে না।

ম্যাসাচুসেটস হচ্ছে আমেরিকর প্রথম অঙ্গরাজ্য যেখানে কন্টাক্ট ট্রেসিং প্রোগ্রামে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটা ম্যানুয়াল ট্রেসিং প্রোগ্রাম। ৪৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে এ অঙ্গরাজ্য। নিয়োগ করছে এক হাজার কর্মী। সম্প্রতি যারা করোনা পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের সবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হবে। কর্মীরা তাদের কাছে পরিস্থিতি বর্ণনা করবেন, উপসর্গের ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন। কোয়ারেন্টিন প্রয়োজনীয়তার বিষয় বোঝাবেন এবং সে ব্যক্তির প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্যের ব্যবস্থা করবেন।

অঙ্গরাজ্যের এক কন্টাক্ট ট্রেসিং কর্মী জানান, আমরা ডিজিটালি অনেক কিছু করতে পারি। কিন্তু মানবিক দিক অনুপস্থিত থাকলে মানুষকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা যায় না। প্রযুক্তির সহায়তা যত ইচ্ছা আমরা নিতে পারি। কিন্তু চিকিৎসার ক্ষেত্রে মানবিক দিকটা বিবেচনা করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com